চলতি অর্থবছরে টি আর প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আদর্শ সদরে ১৮টি, সদর দক্ষিণে ১৪টি, লাকসামে ২৪টি, বরুড়ায় ২৪টি, মনোহরগঞ্জে ২৪টি, চান্দিনায় ২৪টি, নাঙ্গলকোট ১৮টি, চৌদ্দগ্রামে ১৮টি, লালমাইয়ে ১২টি, বুড়িচংয়ে ১৮টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১৮টি, দেবীদ্ধারে ১৮টি, মুরাদনগরে ১৮টি, তিতাসে ১৮টি, হোমনায় ১৮টি, মেঘনায় ১৮টি এবং দাউদকান্দিতে ১৮টি বসত ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করে দেয়া এসব সেমিপাকা প্রতিটি বসত ঘরে থাকছে ২টি কক্ষ, বারান্দা, ১টি রান্না ঘর ও ১ টি শৌচাগার। প্রতিটি বসত ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। এ সব বসত ঘরের মোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একই ধরনের ৮৮টি দুর্যোগ সহনীয় বসত ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। এ সকল বসত ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৭২৮ টাকা।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া বসত ঘরের উপকারভোগী মুরাদনগর উপজেলার আবদুল কাদের বলেন, ‘পাকা ঘরের আশা বাস্তবে নয় স্বপ্নেও করিনি। সে আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সরকার পরিবার নিয়ে মাথা গোজার একটি সুন্দর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে হস্তান্তর করা বসত ঘরের সুবিধাভোগী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামের বীরঙ্গনা আফিয়া খাতুন বলেন, ‘জীবনে কখনো ভালো ঘরে থাকতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় পাকা ঘর পেয়েছি। এ ঘরে বসবাস করছি। আমার সন্তানরাও ভবিষ্যতে এ ঘরে বাস করবে।’
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরে টি আর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৭টি উপজেলায় ৩২০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ৩২০টি বাস গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর আগে গত অর্থ বছরে জেলায় ৮৮টি বসত ঘর তৈরি করে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গৃহহীনদের জন্য এটি সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যোগ করেন তিনি।